Titanic-এর চাঞ্চল্যকর সত্যি ঘটনা!
টাইটানিক দূর্ঘটনায় নয়, এটিকে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিলো! কিন্তু কেন? কারা? এবং কিভাবে?
গত ২০০ বছরের ইতিহাসে পৃথিবীর বৃহত্তম ট্রাজেডিগুলোর একটি হচ্ছে রোমান ক্যাথলিক জেসুইট্স্ কর্তৃক “টাইটানিক” ডুবিয়ে-দেয়া। জেসুইট্স্ এর সিদ্ধান্তে/পরিকল্পনায় এবং বাস্তবায়নে আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে টাইটানিকের সলিল সমাধি ঘটে। কিন্তু কারা এই রোমান ক্যাথলিক জেসুইট্স্? কী তাদের পরিচয়? টুকরো টুকরো তথ্যের সমাহারে নীচে Jesuits সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পাওয়ার প্রয়াস নেয়া হলো। হিটলার নিজেই স্বীকার করেছে, “Jesuits Order খেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি”। এবং জনৈক Senior নাৎসী Walter Schellenberg জানায়, “ হিমলারের নেতৃত্বে হিটলারের S.S সংগঠনটি Jesuits Order এর আদলে গড়া। এবং তারা Jesuits Order এর মূলনীতিগুলো অনুসরণ করে থাকে। একবার হিটলার হিমলার সম্পর্কে মন্তব্য করে, “ হিমলার হচ্ছে আমাদের Ignatius of Loyola.” (জেসুইট্স্ এর প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম জেসুইট্স্ জেনারেল)। একটি বিখ্যাত প্রাচীন ফরাসি প্রবাদ রয়েছে এরকম যে, যখন দু’জন Jesuits পরষ্পর মিলিত হয়, তখন সেখানে তৃতীয় জন যে উপস্থিত হয়, সে হচ্ছে “শয়তান”। রোমান ক্যাথলিক জেসুইট অর্ডার (Roman Catholic Jesuit Order)। দম্ভভরে তারা নিজেদেরকে Society of Jesus বলে থাকে। এদের সম্পর্কে খুব বেশী কিছু জানা যায় না। তাদের বোঝাও বেশ মুশকিল। এবং এটি খুব বেশী আগের কথা নয় যখন “Jesuitical” শব্দটি ঘৃণাসূচক হিসেবে ব্যবহৃত হত। এবং ইউরোপ-আমেরিকায় যতগুলি রোমান ক্যাথলিক অধ্যুষিত দেশ ছিল, সবগুলিতেই Jesuits-রা নিষিদ্ধ ছিল। সভ্য ও শিক্ষিত প্রতিটি সমাজে Jesuit-রা আতংক ও ঘৃণা সৃষ্টিকারী এক নাম।
কিন্তু কেনো - তাদের বিশ্বাস, মতবাদ এবং কর্মকান্ডে কী এমন ছিল যে তাদের প্রতি এমন বিশ্বজনীন বিরুপ মনোভাব? Jesuit-রা কিন্তু এখনও রয়েছে। আগের চাইতে অনেক, অনেক ভয়ংকর ও শক্তিশালী। ক্রমবর্ধমান তাদের অগ্রযাত্রা ও শক্তিমত্তা। তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের কোন পরিবর্তন হয় নি। এবং পূর্বের কৃতকর্মের জন্য তাদের কোন অনুতাপ অনুশোচনাও নেই। বরঞ্চ ঐ হীন কাজ তারা এখনও করে যাচ্ছে। তাদের গোপন ঘাতক বাহিনী (Secret Army of Papacy) কাজ করে যাচ্ছে নিরন্তর নিঃশব্দে। চরম নিষ্ঠুরতা ও অব্যর্থতায়। অনেক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে তারের একটি লক্ষ্য হচ্ছে – Protestant মতবাদকে চিরতরে ধ্বংস করা এবং রোমান ক্যাথলিক মতবাদকে বিশ্বের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা।ভয়ংকর নিষ্ঠুর এক দল ও মতবাদী এ সংগঠন যা’ আগে কখনও বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হয় নি।
Jesuits দের উদ্দেশ্য কী? তারা কী চায়? - তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য পৃথিবীর শাসন কর্তৃত্ব। এবং তা’ তারা করতে চায় জেরুজালেম থেকে। প্রথমে তারা জেরুজালেমে নবী সোলেমানা (আ.)-এর প্রাচীন Temple (?!) পূণর্নিমাণ করতে চায় এবং তাকে কেন্দ্র করে পৃথিবীকে শাসন করতে চায়। এবং এর নেতৃত্বে থাকবে Pope.। এটাই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। কিন্তু সোলেমানের (আ.) Temple পূণনির্মাণ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ Jesuits-রা শুরু খেকেই তা’ চেয়েছিল। যখন Ignatius Loyola প্রথম Jesuits Order-এর শুরু করে, তখন থেকেই সে চেয়েছিল জেরুজালেম যাবে এবং সেখানে Jesuits Headquarter স্থাপন করবে। এবং সে চেষ্টা সে করেছিলোও বটে কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে। ফিরে এসে সে Latin ভাষা চর্চা শুরু করে। জীবনের শুরুতে সে ছিলো একজন সৈনিক, Spanish Soldier. ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যে এক যুদ্ধে সে এক পা-তে আঘাত পায়। ফরাসী জেনারেল যুদ্ধে সাহসিহতা প্রদর্শনের জন্য Loyola-কে জেনারেলের নিজের চিকিৎসককে দিয়ে চিকিৎসা করায় এবং বিশ্রামের জন্য বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তার ভাগ্য সহায় ছিল না। সুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খেকেও তার বা’ পা পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তীব্র ব্যাথা ও যন্ত্রণা নিয়ে থাকতে হয়েছে। এরপর আরো কয়েকবার সে পা ভেঙেছে এবং শেষ পর্যন্ত সে স্থায়ীভাবে খোঁড়া হয়ে যায়। এবং নারীদের কাছে তার যৌন আবেদন শূন্য হয়ে যায়। এতে সে ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে এবং মানসিক ডিপ্রেসনে চলে যায়। নির্জনতা ও একাকীত্ব বরণ করতে হয়। এই নির্জনতায় সে এক দিব্যদর্শন (Vision) লাভ করে। বলা যেতে পারে - এক ধরণের আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করে। এবং তার উপর ভিত্তি করে সে একটি বই লেখে। এবং এই বই-ই এখনো পর্যন্ত Jesuits-দের বেসিক ট্রেনিং-এর সিলেবাস। Jesuits মাত্রই ঐ বই পড়তে হয়।
আমরা ছোট বেলায় আলেক্সান্ডার ডুমা’র (Alexander Dumas) বিখ্যাত চিলড্রেনস্ ক্ল্যাসিক The Count of Monte Cristo’র কথা পড়েছি/শুনেছি। ঐ বই আসলে Jesuits-দের নিয়েই লেখা একটি ব্যঙ্গরচনা (Satire)। এখানে Count মানে হচ্ছে Jesuts General, আর Monte মানে হচ্ছে Mount অর্থাৎ পাহাড়, আর Christo মানে হচ্ছে Christ অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্ট। সব মিলে মানে হলো “খ্রীষ্ট পাহাড়ের Jesuits General। অর্থাৎ ডুমা ঐ কাহিনীতে এক Jesuits General এর কাহনিী ও তাদের যুদ্ধবিগ্রহের কথা তুলে ধরেছে, যে যুদ্ধে Jesuits-রা অতীতে তাদের প্রতি কৃত নানান অন্যায় অত্যাচার ও অপমানের প্রতিশোধ নিচেছ এবং শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ফিরে পেলেও Jesuits General-এর আরাধ্য, কাঙ্খিত “নারীর ভালোবাসা” (Love of Woman) আর ফিরে পায়নি। এবং এটাই হচ্ছে Jesuits Order। এবং আজ পর্যন্ত এটাই Jesuts-দের জন্য নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত Jesuits-রা কোন নারীর সাথে সংসর্গ রাখতে পারেনা। এবং বলা হয়ে থাকে এটাই তাদের সাফল্যের মূল কারণ। অর্থাৎ নারী, পরিবার, সন্তান সন্ততি ইত্যাদির সংসর্গমূক্ত থাকাই তাদের সাফল্যের মূল কারণ। তাদের আধ্যাত্মিতার অন্যতম এক স্বতঃসিদ্ধ উক্তি (maxim) হলো “ যদি Senior যখন বলে, কালোই সাদা এবং সাদাই কালো, তবে তা-ই সত্য” (Black is white, white is black)। এ উক্তি থেকেই Jesuits মতবাদের মূল দর্শন ও চিন্তাধারা পরিষ্কার হয়ে যায়। অর্থাৎ Jesuits মতবাদ হচ্ছে শয়তান এর মতবাদ। Satanist Ideology এবং বাস্তবেও তাই। দেখা গেছে Jesuits General-সহ সমস্ত সিনিয়র Jesuits-রা Ocultists অর্থাৎ শয়তানের উপাসক। তারা শয়তানের উপাসনা করে।
ধর্ম, বিশেষ করে আব্রাহামিক ধর্ম, যা’ করবে তারা তার উল্টোটি করবে। এবং উল্টো করে দেয়ার প্রথা চালু হয়েছে, যেদিন থেকে Jesuits-রা Vatican সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে। মনে রাখতে হবে Jesuits-রা তাদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই পোপের অনুমোদন পায় নি। Jesuits-দের হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও স্বীকৃতি মিলেনি। তাদের সন্ত্রাস, হত্যা, লুন্ঠন, ষড়যন্ত্রসহ নানান অপকর্মের জন্য দীর্ঘকাল যাবৎ রোমান ক্যাথলিক অধ্যুষিত অঞ্চলে তারা নিষিদ্ধই ছিল। কিন্তু ১৮১৪ সালে তাদের সুদিন আসে। এসময় ক্ষমতায় ছিলো সম্রাট নেপোলিয়ন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই যে সম্রাট নেপোলিয়নের Abbie Sieyes নামে এক উপদেষ্টা ছিলো যে কিনা Jesuit. তাকে ব্যবহার করে Jesuit-রা Vatican নিয়ন্ত্রণে নেয়। এবং নেপোলিয়নের মাধ্যমে পোপকে ৫ বছরের জন্য জেলে পাঠায়। পরবর্তীতে হত্যা করে। এবং তারপর পোপের মৃতদেহ আল্স্ পর্বতের চূড়া থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। এ-ই হচ্ছে জেসুইট্স্। প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে Jesuits-রা পোপ এবং পোপের প্রতিষ্ঠানকে সবসময় হেয় করেছে। অবমাননা করে এসেছে। তার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। মোট কথা Jesuits-রা ছলেবলে কৌশলে Pope থেকে অন্যতম রোমান ক্যাথলিক দল হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। এবং Vatican দখল করে তারা একে Satanist/Occulists-দের আখড়ায় পরিণত করেছে। যার কিছু উদাহরণ আমরা উপরে দেখেছি। শুধু তাই নয়। তারা J.k. Rawlings-এর Harry Potter এর Magic চর্চাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের মতে যাদু, Magic, ডাকিনীবিদ্যা (Witchcraft) ইত্যাদি চর্চা খারাপ কিছু নয়। অথচ এগুলোর ব্যাপারে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে তীব্র কড়াকড়ি ছিলো একসময়। এসবের চর্চাকারীদের পাওয়া মাত্র হত্যা করা হোত আগে। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হোত। আর এখন Vatican বলছে এগুলো বৈধ। কোন সমস্যা নেই।
কেনেডি হত্যাকান্ড - আমেরিকার ইতিহাসে যে ক’জন মেরুদন্ড সম্পন্ন প্রেসিডেন্ট ছিলো তাদের মধ্যে John F. Kennedy হচ্ছেন অন্যতম। উল্লেখযোগ্য আরও দু’জন হচ্ছেন Abraham Lincon ও Andrew Jackson। ব্যক্তিত্ব, মেরুদন্ড এবং আত্মমর্ঝাদার প্রতিভূ আরও দু’একজন রয়েছেন, তবে এখানকার আলোচনায় তা’ মূখ্য নয় বিধায় বিষয়টি এখানে এড়িয়ে যাওয়া হলো। তবে সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তিত্ব ও নীতিজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রেই আক্রমনের লক্ষ্যস্থল হয়ে যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে যুগে যুগে তা-ই দেখা গেছে। জাজ্বল্যমান উদাহরণ ইসলামের ইতিহাস। চার খলিফার তিনজনই Assacination-এর শিকার। খোদ ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হজরত মোহাম্মদ (স.)-ও তাই। এ ধরণের মানুষেরা অশুভ চক্র ও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। কেনেডিও তার ব্যতিক্রম নয়। যেমন ব্যতিক্রম নয় Lincoln ও Jackson. এদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছিলো। কেন, তার সব আলোচনা এখানে সম্ভব নয়। এখানে মোটাদাগে কেনেডি’র হ্ত্যার ব্যাপারে অতি সংক্ষিপ্তভাবে দু’একটি পয়েন্ট বলা হবে। হ্যাঁ, কেনেডিকে হত্যা করা হয়েছিলো মূলত দু’টি কারণে। তার একটি হচ্ছে, কেনেডি CIA’র শাসনের অবসান চেয়েছিলো। আর অন্যটি হচ্ছে, সে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলো। তাহলে কী CIA, FBI আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অধীনে নয়?! হ্যাঁ, অধীনে, তবে তা’ কাগজে কলমে। বাস্তবে নয়। তবে কা’র অধীনে? এটাই খুব জটিল প্রশ্ন। গভীর প্রশ্ন। বস্তুতঃ CIA, FBI এসব চলে অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। সেই অদৃশ্য শক্তি, যাদের দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না। দেখা বা ছোঁয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে অঙ্গুলি তুলতে কেউ সাহস করে না। করলে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। যেমন নিতে হয়েছিলো কেনেডি, লিংকন এবং জ্যাকসনকে। এবং এ ব্যাপারে কেনেডি’র সেই বিখ্যাত ভাষণ প্রনিধানযোগ্য। নীচে তার ভাষনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো। এ বিখ্যাত ভাষনে কেনেডি CIA সহ সকল সিক্রেট সোসাইটির সমালোচনা ও তাদের অবসান চেয়েছিলো।
ঐ ভাষণে বোঝা যায় কেনেডি তাল মিলিয়ে চলার মানুষ নয়। খাপ খাইয়ে চলার মানুষ নয়। দৃশ্যমান ক্ষমতার আড়লে আসল ক্ষমতাবান অদৃশ্য শক্তির, Secret Society’র, সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। আপোষ করতে পারেনি। সে ছিলো জাগ্রত বিবেকের মানুষ। স্বাধীনচেতা মানুষ। মেরুদন্ডসম্পন্ন মানুষ। রিগান, বুশ আর ক্লিনটনের মতো মেরুদ্ন্ডহীন ছাগল নয়। অনেকেরই অজানা যে ভিয়েতনাম যুদ্ধের অপর নাম স্পেলিস্ যুদ্ধ (Spelly’s War)। পুরোটা বললে বলতে হয় – Cardinal Spellman’s War। আর এই Cardinal Spellman হচ্ছে American Roman Catholic Pope। প্রায়ই সে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন War Front-এ গিয়ে আমেরিকান সৈন্যদের উৎসাহ দিতো এবং বলতো “তোমরা হচ্ছো “Soldiers of Christ”। তাছাড়া যুদ্ধে আমেরিকান ফোর্সের কমান্ডারও ছিলো রোমান ক্যাথলিক। তদুপরি সে একজন CFR (Council on Foreign Relation) মেম্বারও বটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে CFR খুবই শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান। আমেরিকার অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এখানেই নেয়া হয়। তারাই আগে থেকে ঠিক করে “কে” প্রেসিডেন্ট হবে-না-হবে। রাষ্ট্রিয় গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণ এখানেই হয়। যাই হোক, ঐ Spellman নিয়ন্ত্রিত হতো Vatican Jesuits-এর দ্বারা। অর্থাৎ Jesuits General-এর দ্বারা। প্রশ্ন হচ্ছে Jesuits Genetral তথা Jesuits-রা কেন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চেয়েছিলো?
তার প্রধান দু’টি কারণ এখানে উল্লেখ করবো। একটি কারণ হচ্ছে – ভিয়েতনামের জনগণ ছিলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। কিন্ত তারা সহজে ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে চাইতো না। শতশত বছর ধরে Jesuits-রা ভিয়েতনামে অবস্থান করলেও ভিয়েতনামী জনগণ ও সরকারের উপর তেমন নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেনি। তাছাড়া ক্যাথলিক রোমের উপস্থিতিও তাদের পছন্দ ছিলো না। ফলে যা’ হবার তাই-ই হলো। অর্থাৎ সোজা আঙ্গুলে ঘি না-উঠলে আঙ্গুল বাঁকা করতেই হয়। তাই যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ভিয়েতনামীদের “শুদ্ধিকরণের” (Purge) ব্যবস্থা করা হলো। যেভাবে তারা পলপটকে (Pol Pot) দিয়ে Cambodia-কে “শুদ্ধি” করেছিলো লক্ষলক্ষ মানুষ হত্যা করে। চীনে করেছিলো মাও সেতুং-কে দিয়ে। উল্লেখ্য মাও সেতুং পুরোপুরি Jesuits দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। মোটামুটি লাওস (Laos), কম্বোডিয়া (Cambodia), থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম – এদেরকে কব্জা করার দরকার ছিলো Jesuits-দের। কিন্তু ভিয়েতনামীরা বাগে আসছিলোনা দেখে তাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
তবে উল্লিখিত কারণটির চাইতে আরো বড় কারণ ছিলো “মাদক ব্যবসা” (Drug Trade)। উল্লেখ্য তখন (এবং এখনও) পুরো পৃথিবীর ড্রাগ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো Vatican। সমস্ত হেরোইন, আফিম এবং কোকেইন Cambodia হয়ে আমেরিকায় পৌছেঁ যেতো। এর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ছিলো Vatican এর। এজন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে Vaticanএর এক ধরণের চুক্তিও হতো। এ চুক্তির নাম Concordate। উল্লেখ্য হিটলার, মুসোলিনি এবং ফ্রাংকোর (Spanish Dictator) সাথে Corcordate খাকলেও ভিয়েতনামের সাথে ছিলো না। ফলে এখানে ঐ গোপন Concordate চুক্তি করা জরুরী হয়ে পড়েছিলো। তাই যুদ্ধের মাধ্যমে শায়েস্তা করা ছাড়া আর উপায় ছিলো না। মোদ্দা কথা হচ্ছে “ভিয়েতনামকে বাগে আনা” এবং “ড্রাগ ব্যবসা” এ দু’টিই ভিয়েতনাম যুদ্ধের মূল কারণ। আর অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হ্ত্যা করা হয়েছিলো – সে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিলো আর CIA –এর সাথে তার বনিবনা হচ্ছিলো না ও CIA নামক Intellegence Community সে বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। আর বিদ্যমান নানান সিক্রেট সোসাইটির প্রকাশ্য সমালোচনা শুরু করেছিলো, যা’ তার ভাষণে ফুটেঁ উঠেছে।
সাবেক জেসুইট্স্ জেনারেল, যা'র নির্দেশে কেনেডিকে হত্যা করা হয়েছিলো।
কয়েক শ’ বছরের Jesuits এর কালো ইতিহাস ব্লগের এক দুই পর্বে লিখে ফুরোনো যাবে না। সংক্ষেপে বললে বলতে হয় – ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশ থেকে এই Jesuits সংগঠনটিকে অতীতে প্রায় ৩৯ বার নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। এতেই বোঝা যায় – এই সংগঠনটিতে গুরুতর কোন গন্ডগোল ছিলো। এমন কিছু ছিলো যা’ হজম হবার নয়। সহ্য করবার নয়। তাই ঐ সব দেশ বাধ্য হয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলো। এমনকি জাপান থেকেও ঐ সংগঠনটি ১৬৩৯ সালে নিষিদ্ধ ও বিতাড়িত হয়েছিলো তৎকালীন জাপানী ডাইনেষ্টির দ্বারা। কিন্তু তারা ঐ অপমানের কথা ভোলেনি। প্রায় ২০০ বছরের অধিক সময় পরে হলেও ঐ অপমানের প্রতিশোধ তারা নিয়েছিলো। জাপানের ঐ রাজবংশকে তারা সমূল বিনাশ করেছিলো। Jesuits এর অর্থায়নে আমেরিকান বাহিনী B-29 বোমারু বিমান থেকে শত শত আগুনে বোমা নিক্ষেপ করে জাপানকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলো। উল্লেখ্য Jesuits-রা Lockheed, Boeing, McDonald-Douglas, and Grumman প্রভৃতির মালিক। এই তথ্য পাওয়া যাবে বিখ্যাত দার্শনিক লেখক Avro Manhattan এর The Vatican Billions-এ। Jesuits সম্পর্কে President Abraham Lincoln এর একটি উক্তি দিয়ে Jesuits পরিচিতি শেষ করতে চাই। President Lincoln এর বিখ্যাত সেই উক্তিটি ছিলো – The Jesuits never forget nor forsake। অর্থাৎ Jesuits-রা কখনও ভোলে না, কখনও ছাড়ে না। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস। President Lincoln-কে-ও এই Jesuits-রাই হত্যা করেছিলো। সে আর এক লম্বা ইতিহাস। আর এক দিন আলোচনা হবে।
তবে শেষ করার আগে আর একটি কথা না-বললেই নয়। কারো কারো মনে প্রশ্ন উঠতে পারে – বিদ্যমান নানান সিক্রেট সোসাইটি সমূহের মধ্যে Jesuits-দের অবস্থান কোথায়? হ্যাঁ, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বটে! প্রকৃতই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। হ্যাঁ, ঐ প্রশ্নটির জবাব পাওয়া যাবে বেশ পুরনো একটি পত্রিকায়। পত্রিকাটির নাম The Saturday Evening Post (January 17, 1969)। তথ্যটি উঠে আসে সে সময়কার Jesuits General এর সাক্ষাৎকার থেকে। এই জেনারেল ১৯৬৩ সালে পদত্যাগ করে। এরই নির্দেশে প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করা হয়। এবং ঐ সাক্ষাৎকার থেকে উঠে আসে বিভিন্ন সিক্রেট সোসাইটি সমূহের চিত্র।
১৯১২ সালের ১৪/১৫ই এপ্রিল উত্তর আটলান্টিকে বরফের চাইয়ের আঘাতে খন্ড বিখন্ড হয়ে ডুবে যায় টাইটানিক জাহাজ। জাহাজ ডুবির ইতিহাসে এটিই হল সবচেয়ে বিয়োগান্তক ঘটনা। টাইটানিক নিয়ে তৈরী হয়েছে অসংখ্য সিনেমা, লেখা হয়েছে গল্প,নাটক, উপন্যাস। অনেক গান, অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে রেডিও, টেলিভিশনে। ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরুন নির্মিত এবং লিওনার্ডো ডি ক্যাপ্রিও অভিনীত টাইটানিক”(Titanic) ছিল রেকর্ড ভঙ্গকারী চলচ্চিত্র। এটাই টাইটানিকের প্রথম এবং একমাত্র সমুদ্র যাত্রা- ১৯১২ সালের ১০ ই এপ্রিল যখন এটি রওয়ানা দেয় ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে। এবং সেটিই ছিল টাইটানিকের প্রথম এবং একমাত্র সমুদ্র যাত্রা। ১০ তারিখ দুপুরে যাত্রা করে প্রথম নোঙ্গর ফেলে ফ্রান্সের শেরবুর্গ বন্দরে। তারপর আইয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউন এবং কুইন্সটাউন ছাড়ে ১১ ই এপ্রিল দুপুর ১-৩০ মিনিটে। তখন ক্রু এবং যাত্রী মিলে জাহাজে ২,২০০ জন লোক। ১২, ১৩ তারিখ নিরাপদে কেটে গেলেও ১৪ তারিখে সমুদ্রে ভাসমান বরফ খন্ড সম্পর্কে সতর্ক বার্তা পেতে থাকেন ক্যাপ্টেন স্মিথ। রাত ৯-২০ ক্যাপ্টেন সবাইকে সতর্ক থাকতে বলে বিশ্রামে গেলেন। রাত ১১-৪০ এ বরফের চাই যখন খুব কাছে ফার্স্ট অফিসার মারডক নির্দেশ দিলেন জাহাজ বায়ে ঘুরিয়ে পেছনের দিকে সরে যেতে।কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে গেছে ততক্ষনে। মুহুর্তের মধ্যেই বরফের চাই আঘাত হানল। যাত্রীরা অধিকাংশ তখন ঘুমে যারা জেগে ছিলেন তারাও খুব বেশী টের না পেলেও ক্যাপ্টেন ঠিকই বুঝলেন । বরফের আঘাতের পর জাহাজের ১৬ প্রকোষ্ঠের মধ্যে ৬ টাতেই পানি ঢুকছে তখন।ক্যাপ্টেন ১২-১০ মিনিটে লাইফবোট বার করতে এবং চারিদিকে বিপদ সঙ্কেত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বেতার কর্মীদের। ১২-৪৫ এ প্রথম লাইফ বোট পানিতে নামল। ২-০৫ এ যখন শেষ লাইফবোট জাহাজ ছাড়ল তখন বাকীদের আর কোন আশাই থাকল না। যাত্রীরা ভেসে থাকার মত হাতের কাছে যা কিছু পেল (যেমন ডেক চেয়ার) তাই আকড়ে ধরে বাচতে চাইল। ২-১৮ মিনিটে জাহাজ ভেঙ্গে দুটুকরো হয়ে , ২-২০ মিনিটে পুরো জাহাজ তলিয়ে গেল পানির নীচে। পর এক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ছিল ১৯৫০ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র “"A Night to Remember”
পুরো ফিল্মটাই পরিবারের এক প্রধান ব্যক্তিত্বের সাথে তার সুন্দরী বাগদত্তার বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনায় পরিপূর্ণ। বাগদত্তা যেই মহিলাটির সাথে ঐ ব্যক্তির বিয়ে হবার কথা ছিল, তথাকথিত স্বাধীন মেলামেশার সুযোগে ঐ মহিলাটি বিশ্বাসভঙ্গ করে। মজার ব্যাপার হলো, হলিউডের চলচ্চিত্র এ ধরনের স্বাধীন মেলামেশার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। সেজন্যে ঐ মহিলার বিশ্বাসভঙ্গ করাটাকে ফিল্মে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে দর্শকরা তাদের মনের অজান্তেই ঐ মহিলার অন্য পুরুষের সাথে গড়ে ওঠা সম্পর্ককে নৈতিক এবং মানবিক সম্পর্ক হিসেবে মেনে নিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। অথচ যৌনতার লাগামহীন এই সম্পর্ককে যে-কোনো বিবেকবান মানুষ, যে-কোনো ধর্ম কিংবা নৈতিকতা সম্পন্ন যে-কোনো আদর্শই প্রচণ্ড ঘৃণার চোখে দেখে। এবং বলা বাহুল্য যে – ১৮ বছরের রোজ (নায়িকা) এবং ১৯ বছরের জ্যাক (নায়ক) এর রোম-খাড়া-করা-যৌন-উত্তেজনা-ছড়ানো প্রেমের কাহিনীটিও সম্পূর্ণ বানোয়াট।
আরো বানোয়াট নিচের কাহিনীটিও : কোনদিনও ডুববে না এমন দাবি করে ১৯১২ সালে প্রথম বিহারেই ১৫০০ যাত্রী নিয়ে বিলাসবহুল টাইটানিক আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাবার পর যে সকল কাহিনী প্রচারিত হয়েছিল তাদেরই একটি এক অভিশপ্ত মমির অভিশাপ। আর এই মমিটি ইজিপ্টের রাজকুমারী আমেন রা এর। বলা হয় মমির অভিশাপের কারনেই ভাসমান বরফদ্বীপের সাথে ধাক্কা খেয়েছিল টাইটানিক। গল্পটি বহু বছর ধরে প্রচারিত হলেও এর পালে হাওয়া লাগে অস্কার বিজয়ী টাইটানিক ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবার পর। গল্পটি এরকম - ১৮৯০ সালের শেষার্ধে এক ধনী ইংরেজ লুক্সরের কাছে এক প্রত্নতাত্নিক খননকাজ দেখতে যান। তিনি সেখান থেকেই কেনেন কফিনশুদ্ধ রাজকুমারীর এই মমিটি। এরপর তিনি জাহাজে করে মমিটি দেশে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বন্দরে মমিটি গ্রহণ করার জন্য আর উপস্থিত থাকতে পারলেন না। তিনি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন। বাস্তবিকই তাকে আর কোনদিনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গী অপর তিন জনের একজন কিছুদিন পরেই মারা যান, দুর্ঘটনায় একজনের হাত কাটা পড়ে আর অপরজন ব্যাংক ফেল করায় সর্বসান্ত হন।
কফিনটি ইংল্যান্ডে পৌছলে একজন ব্যবসায়ী তা কিনে নেন। এর ফলে সেই ব্যবসায়ীর পরিবারের তিনজন মোটর দুর্ঘটনায় আহত হন এবং তার বাড়ীতে আগুন লাগে। মমিটিকে অভিশপ্ত মনে করে সেই ব্যক্তি এটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে দান করে দেন। মিউজিয়াম এটিকে সাদরে গ্রহণ করলো। কিন্তু মিউজিয়ামের কর্মচারীরা রাত্রিবেলা শুনতে পেল কফিনের ভেতর থেকে তীব্র কান্নাস্বর। প্রদর্শনী কক্ষের জিনিসপত্রগুলো সব এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা গেল। মারা গেল এক প্রহরী। এ কথা জানতে পেরে এক ফটোগ্রাফার কফিনের ছবি তুলে আনলেন। ছবি ডেভেলপ করার পর ছবিতে যে বীভৎস রূপ তিনি দেখলেন তাতে আত্নহত্যা করেই তিনি মুক্তির পথ খুঁজলেন। ব্রিটিশ মিউজিয়ামও আর এসব সহ্য করতে পারছিল না। কিন্তু মমিটির কুখ্যাতি এতটাই ছড়িয়েছিল যে এ থেকে তারা সহজে মুক্তি পাননি। অবশেষে একজন আমেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ এসব কিছুকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে কিনে নিলেন মমিটি আর টাইটানিকে চড়িয়ে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। আর এরপরের ঘটনা তো সবারই জানা। তবে এই গল্পের আরেকটি ভার্সনে বলা হয় সেই প্রত্নতত্ত্ববিদ টাইটানিকের এক নাবিককে ঘুষ দিয়ে মমিটি লাইফবোটে তোলেন এবং এটি আমেরিকা পৌছায়। এরপর মমিটি আবার হাতবদল হয়ে আরো কয়েকবার সমুদ্রবিহার করে অবশেষে সাগরতলে আশ্রয় নেয়। বলাই বাহুল্য – ঐ কাহিনীও সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ডাহা মিথ্যে। তাহলে আসল ঘটনা কী? আসল সত্য কী?
টাইটানিক ডুবির আসল ও সত্যিকারের কারণঃ ইতিহাসে দেখা যায় ১৮৩০ সালের শুরুর দিকে আমেরিকার কোন সেন্ট্রাল ব্যাংক ছিল না। এসময় জেসুইট্স্-রা মরিয়া হয়ে উঠে একটি প্রাইভেট সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাতে তারা একটি তলাবিহীন ঝুড়ি তৈরী করতে পারে যা’ থেকে টাকা নিয়ে পৃথিবীজুড়ে গোপন পরিকল্পনার মাধ্যমে যুদ্ধ বিগ্রহ ও নানান অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাতে পারে। সময় ১৯১০ সাল। স্থান জেকিল আইল্যান্ড। নাম পরিচয় গোপন করে ৭ জন লোক অতি গোপনে সাংবাদিকদের চোখ এড়িয়ে আমেরিকার জর্জিয়া উপকূলের অদূরে জেকিল আইল্যান্ডে মিলিত হয়। উদ্দেশ্য? আমেরিকায় কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা। ব্যাংকের নাম “ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক”। ঐ ৭ জন লোক হলো Nelson Aldrich, Frank Vanderlip (এ দু’জন রকফেলার অর্থ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী), Henry Davison, Charles Norton, Benjamin Strong (J.P. Morgan অর্থ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী), Paul Warburg (ইউরোপের রথচাইল্ড ব্যাংকিং ডাইনেষ্টির প্রতিনিধিত্বকারী)। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে রথচাইল্ড ব্যাংকিং ডাইনেষ্টি আবার রোমান ক্যাথলিক ভ্যাটিক্যান জেসুইট্স্দেরও এজেন্ট। এবং এই জেসুইট্স্-রা আবার রোমান ক্যাথলিক চার্চের অর্থ সম্পদের নিয়ন্ত্রক। অর্থাৎ রোমান ক্যাথলিক ভ্যাটিক্যান, জেসুইট্স্ এবং রথচাইল্ড ব্যাংকিং ডাইনেষ্টি একই চেইনের অন্তর্ভূক্ত। বিভিন্ন দেশের সাংবিধানিক কর্তৃত্বকে খর্ব করে পোপকে বিশ্ব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্য তারা যে কোন কিছু করবে, তা’ যতই হীন কাজ হোক-না-কেন।
টাইটানিকের নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯০৯ সালে। নির্মান স্থান উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাষ্ট। আর এই বেলফাষ্ট হচ্ছে প্রটেষ্টান্টদের স্বর্গভূমি ও ঘাটি। এই প্রটেষ্টান্টদের সাথে আবার জেসুইট্স-দের সম্পর্ক সাপে-নেউলে। টাইটানিক হচ্ছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিপিং কোম্পানী White Star Line-এর মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল জাহাজ। সে যুগের সেরা সেরা ধনীরা সে যুগের শ্রেষ্ঠ বিলাসি জাহাজ টাইটানিকের টিকেট কেনে। কেউ কেউ এমন আছে যে তারা তাদের সমগ্র জীবনের সঞ্চিত সম্পদ নিয়ে ঐ জাহাজ চড়ে। ব্যাংকিং-ই একমাত্র ব্যবসা নয় J.P. Morgan এর যাতে প্রচন্ড ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত, সে আমেরিকার জাতীয় রেল লাইন ব্যবসার উপর কর্তৃত্বকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক শিপিং ট্রাষ্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করে যাতে জার্মানীর বৃহত্তম দু’টি শিপিং লাইন, ইংল্যান্ডের White Star Lineও অন্তর্ভূক্ত। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর প্রসঙ্গে আসা যাক। একদিকে মরগান, রকফেলার এবং রথচাইল্ড পরিবারবর্গ আমেরিকায় একটি প্রাইভেট সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠে, অন্যদিকে ক্ষমতায়, বিত্তে এবং প্রতিপত্তিতে তাদের চাইতে কোন অংশে কম যায় না, এমন কিছু ধনী লোক ছিলো যারা ছিলো প্রাইভেট কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোরতর বিরোধী। তারা রথচাইল্ড গ্রুপের পথের কাঁটা হয়ে দাড়ায়। এ যেন বাঘে মোষে লড়াই।
এসময় ভ্যাটিক্যানের মিলিশিয়া বাহিনী “জেসুইট্স্-রা এগিয়ে আসে। Jesuits General মরগানকে নির্দেশ দেয় “টাইটানিক” বানাবার। ব্যাপক প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো হয় যে “টাইটানিক” এমন একটি জাহাজ যা’ কোনদিন ডুবে যাবে না (An Unsinkable Ship?)। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিলো একটি মৃত্যু-জাহাজ (Death Ship), যেটি তৈরী করা হচ্ছিলো তাদের জন্য যারা রথচাইল্ড পরিবারের জন্য “ফেডারেল রিজার্ভ সিষ্টেম” প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। এটি এমন একটি মার্ডার প্ল্যান যা’ কেউ ঘুণাক্ষরেও বলবে না যে এটি একটি “হত্যা”। এবং কেউ এটিও বলবে না যে এটি “জেসুইট্স্”দেরই কাজ। সন্দেহের ছিঁটেফোঁটাও যাতে না-থাকে সেজন্য ক্যাথলিক-জেসুইট্স্-রা তাদের স্বগোত্রীয় অন্যান্য নামীদামী রোমান ক্যাথলিক এলিটদেরও টাইটানিকে ভ্রমনের প্ররোচনা (Motivate) করে। দাওয়াত দেয়। অনেক আইরিশ, ফ্রেঞ্চ এবং ইতালিয়ান রোমান ক্যাথলিক প্রমোদ ভ্রমনের জন্য “টাইটানিকে” উঠে। স্বগোত্রীয় ঐ সব লোক এমন যে তারা দুনিয়া থেকে খরচ হয়ে গেলেও Jesuits-দের কিছু যায় আসে না। তাদের মূল লক্ষ্য পথের কাঁটা দূর করা। এবং তা’ যেকোন প্রকারেই হোক। টাইটানিকের নির্মানস্থল “বেলফাষ্ট” থেকেও অনেক প্রটেষ্টান্টকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো আমেরিকা ভ্রমনের জন্য। এবং সকলেই সে আমন্ত্রণে সাড়া দেয়।
ক্ষমতায়, বিত্তে যারা বিপদজনক হতে পারে এমন সবাইকে আমন্ত্রণ জানায় জেসুইট্স্-রা টাইটানিকে ভ্রমন করার জন্য। এদের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ৩ জন। Benjamin Guggenheim, Isador Strauss, and John Jacob Astor (ঐ সময়ের পৃথিবীর ১ নং ধনী ব্যক্তি)। ঐ তিন জনকে টাইটানিকে ভ্রমনে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো। নানান কূটকৌশল ও ছলাকলার আশ্রয় নেয়া হয়েছিলো। যে কোন মূল্যেই তাদের ভাসমান প্রাসাদ টাইটানিকে উঠাতে হবে। কেননা তাদের অর্থ, প্রভাব ও ক্ষমতা “ফেডারেল রিজার্ভ সিষ্টেম” প্রতিষ্ঠার পথে একমাত্র বাধা। তাই যে কোন প্রকারেই হোক তাদের দুনিয়া থেকে সরাতে হবে। তা’ না-হলে তাদের অন্যান্য গোপন পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন হবে না। এবং অন্যান্য গোপন পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে “যুদ্ধ” বাধানো। দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ বাধানো একটি লাভজনক ব্যবসা। খুবই লাভজনক ব্যবসা। ঐ লাভ বিবাদমান কারোই হয় না; লাভ হয় না-বিজয়ীর, না-বিজিতের। লাভ হয় শুধু যুদ্ধে যারা অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। প্রচুর লাভ। শুধু যে আর্থিক লাভ তা নয়, যুদ্ধের ফলে বিবাদমান উভয় পক্ষ ক্রমে ক্রমে অর্থ বিনিয়োগকারীর পাতা ফাঁদে আটকা পরে। অধিক থেকে অধিকতর। তাই ভ্যাটিক্যান-জেসুইট্স্-রথচাইল্ড গোষ্টি তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় যে-সব যুদ্ধ বাঁধাবার পরিকল্পনা রয়েছ, এবং ঐ যুদ্ধ থেকে যে প্রভূত লাভের স্বপ্ন দেখছে, তাতেও ঐ তিন জন বড় বাঁধাস্বরুপ। তাই যে কোন মূল্যে তাদের দুনিয়া থেকে খরচ হয়ে যেতে হবে। অতএব দেখা যাচ্ছে যে, যুদ্ধ মানেই লাভ, লাভ, আর লাভ। কার লাভ? লাভ না-বিজয়ীর, না-বিজিতের। লাভ হয় শুধু যুদ্ধে বিনিয়োগকারীর। কেননা যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্যে বিবদমান উভয় পক্ষেরই অর্থের প্রয়োজন হয়। ঐ অর্থ আসে তৃতীয় পক্ষ থেকে। এবং শেষমেষ যুদ্ধে ঐ তৃতীয় পক্ষেরই লাভ। এ জন্যেই ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হজরত মোহাম্মদ (স.) এক হাদীছে বলেছিলেন, “অধিকাংশ যুদ্ধ হচ্ছে একটি প্রতারণা বিশেষ”। সে যুগের প্রেক্ষাপটে ঐ হাদীছের মর্ম বোঝা দূরুহই বটে। কিন্তু এ যুগের প্রেক্ষাপটে এটি পরিষ্কার বোঝা যায়।
Edward Smith ছিল টাইটানিকের Captain.। North Atlantic জলপথে জাহাজ চালানোর তার ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা। এবং ঐ সময়ে সে ছিলো পৃথিবীর সবচাইতে অভিজ্ঞ মাষ্টার। এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই যে, দীর্ঘকাল যাবৎ সে ছিলো J.P. Morgan/Jesuits-এর অধীনে কর্মরত। Edward Smith ছিলো Jesuits Tempore Co-adjutor.।অর্থাৎ সে পাদ্রী ছিলো না। সে ছিলো Short Robe Jesuit.। Jesuits হতে হলে পাদ্রী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। নিয়ম হচ্ছে – Jesuits Order-এ যারা পাদ্রী নয়, তারা নিজনিজ পেশাগত দক্ষতা দিয়ে Jesuits Order-এ সেবা করে যাবে। যে কেউ Jesuits হতে পারে। তবে তাদের Jesuits পরিচিতি সাধারণ্যে প্রকাশিত নয়। গোপন থাকে। কেউ জানতে পারে না। Edward Smith-ও তেমনি তার পেশা জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে Jesuits Order-এ সেবা করে যাচ্ছিল।
সময় ১০ এপ্রিল, ১৯১২ - দক্ষিণ ইংল্যান্ড থেকে টাইটানিকের যাত্রা শুরু হবে হবে এমন অবস্থা। Father Francis Browne, ক্যাপ্টেন Edward Smith এর Jesuits Master, টাইটানিকে উঠেন। এ লোকটি সমগ্র Ireland-এ সবচেয়ে ক্ষমতাধর। ও শুধু রোমে Jesuits Order-এর General-কেই জবাবদিহিতা করে। অন্য কাউকেই নয়। জাহাজে উঠেই Father Francis Browne কিছু ছবি তোলে, যার মধ্যে Victim-দের ছবিও রয়েছে। ছবি তোলার পর সে ক্যাপ্টেন-এর সাথে বৈঠক করে। কিছু Brief করে। এবং এসময় সে ক্যাপ্টেনকে Jesuits হিসেবে তার শপৎ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। এবং পরবর্তী সকালে তাকে বিদায় জানিয়ে জাহাজ থেকে অবতরণ করে। Captain Edward Smith তার প্রভুর (The Jesuit General) আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। Jisuit Order –এর প্রভুর নির্দেশ। প্রভুর নির্দেশে যে কোন কিছুই করা বৈধ। অবশ্য পালনীয়। তা’ ভালমন্দ যে কাজই হোক। নিরীহ নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা, লুন্ঠন করা কিংবা যৌনতা সংক্রান্ত যেকোন অপরাধ। অন্যান্য যে কোন Jesuits-এর মত Edward Smith একজন Jesuit Order এর member হিসেবে যে শপৎ তা’ একটু দেখা যাক। Jesuits হিসেবে ঐ শপথের মাধ্যমে Captain Edward Smith-ও ইচ্ছে-বিবেক-বুদ্ধিবিহীন একজন যন্ত্রমানবে পরিণত হয়। Jesuits Order –এর ইচ্ছে অনুযায়ী Captain Smith এখন যে কোন কাজ করতে বাধ্য, তা’ যত নিষ্ঠুর ও হীন কাজই হোক-না-কেন। এ যেন Jesuit হিসেবে Captain Smith এর শহীদ হয়ে যাওয়া। দৃঢ়, নিঃশঙ্খ Captain Smith, একজন রোবটের মতো, যে-কিনা জানে ঐ কালরাত্রিতে জাহাজে তার কাজ কী? Smith এখন Jesuit শপথের অধীন। অন্য কথায়, ভূবন বিখ্যাত জাহাজ Titanic তৈরী-ই হয়েছিলো Jesuits এর শত্রুপক্ষকে নিধন করার জন্য।
২৬ বছরের পরিচিত অতলান্তিকের এই জলপথে তিন রাত্রি অবিরাম চলার পর Captain Smith হঠাৎ জাহাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। সমানে, পূর্ণ গতিতে। নিকশ কালো ঘুঁটঘুটেঁ অন্ধকার রাত। অমাবষ্যা। সামনে প্রায় ৮০ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত বরফের চাঁই (ICE BERG / ICE FIELD)। ইতিমধ্যেই আটটি সতর্কীকরণ Telegram এসে পড়েছে; জাহাজ খুব দ্রুতগতিতে চলছে। নেভিগেশান কন্ট্রোল গতি কমাতে বলছে। সেদিক ভ্রুক্ষেপ নেই Captain Smith এর। এত অভিজ্ঞ একজন কাপ্তানের এতগুলো সতর্কীকরণ (Cautions) প্রয়োজন আছে কি? মোটেই না। কারণ সে ঐ জলপথে প্রায় ২৬ বছর জাহাজ চালিয়েছে। ঐ পথ তার নখদর্পনে। চিরচেনা। সে অতি অবশ্যই জানে যে এই ঐ এলাকায় বরফের পাহাড় (Ice Berg) রয়েছে। তাই আটটি কেন, আটশ’ টেলিগ্রামও তাকে থামাতে পারতো না। কেননা সে এখন Jesuit শপথের ও আদেশের অধীন (Under Jesuit’s Oath and Order)। যে কোন মূল্যে Titanic ডুবিয়ে দিতে হবে। ধ্বংস করতে হবে। বারবার টাইটানিকের গতি কমানোর নির্দেশ সংবলিত ঐ টেলিগ্রাম Smith কাছে আসলেই হাস্যকর। কারণ সে এখন অন্য জগতের মানুষ। বিবেক-বুদ্ধি বর্জিত একজন যন্ত্রমানব। তার প্রভু এখন ভ্যাটিক্যানে। সে প্রভুর নির্দেশই এখন সে মানবে। পালন করবে। অন্য কোন নির্দেশই আর কার্যকর হওয়ার নয়। আশ্চর্য্য হলেও সত্য যে, নিকটবর্তী বাণিজ্যিক মালবাহী কোন জাহাজ যাতে Titanic এর উদ্ধারে/সাহায্যে এগিয়ে না-আসে, সেজন্য আকাশে বিপদসংকেত (Distress Flares) ছোঁড়া হয় সাদা রংয়ের। অথচ হওয়া উচিৎ ছিলো “লাল” রংয়ের। কোন জাহাজে সাদা রংয়ের Distress Flare ছোঁড়া মানে হচ্ছে ঐ জাহাজে এখন “পার্টি” (Party) চলছে। আর “লাল” রং মানে “বিপদ”।
Titanic ট্রাজেডি হচ্ছে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি। এবং নৃশংস ট্রাজেডি সংঘঠিত হয় Roman Catholic Jesuits-দের হাতে। মাত্র ৩ জন লোককে দুনিয়া থেকে সরাবর জন্য প্রায় ১৫০০ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। উদ্দেশ্য Federal Reserve Systerm প্রতিষ্ঠা করা। ঐ তিনজন লোক তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছিলো। তাছাড়া প্রভূত ধনসম্পদের ক্ষতি গুণতে হয়েছে। কোন পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। সর্বশান্ত হয়েছে। কোন কোন পরিবারের সব সদস্যকেই প্রাণ দিতে হয়েছে।
প্রচুর বই, চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র, স্মারক রচিত হয়েছে Titanic-কে ঘিরে। কিন্তু তারা অধিকাংশই সত্য প্রকাশ করেনি, বরঞ্চ, ওগুলো তৈরী করা হয়েছে “সত্য”-কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। এপ্রিল ১৯১২। ইতিমধ্যেই Federal Reserve System প্রতিষ্ঠার পথে সকল প্রতিবন্ধক নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে, দূরীভূত করা হয়েছে। ডিসেম্বর ১৯১৩। প্রাইভেট কেন্দ্রীয় ব্যাংক Federal Reserve System প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মাসের মধ্যে Jesuits এর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ এসে গেছে ১স বিশ্ব যুদ্ধ বাঁধাবার। Jesuits পরিকল্পিত ১ম বিশ্ব যুদ্ধ শুরু।
Post a Comment